Table of Contents
সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরলের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, শরীর এবং স্বাস্থ্যের অবনতি হতে বেশি সময় লাগবে না। তবে মনে রাখবেন, শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনও জরুরি।
ডায়াবেটিসে কি খাবেন?
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমে মিষ্টি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ফাস্ট ফুড, পরিশোধিত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। পরিবর্তে, উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবারের উপর নির্ভর করুন। তাই প্রতিদিন নিয়মিত শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া শুরু করুন। এর পাশাপাশি, মাছ, মাংস এবং ডিমও নিয়মিত খাওয়া উচিত। আর যদি আপনি মাংস না খান, তাহলে আপনি দুধ, পনির, ছোলা, সয়াবিন, টোফুর মতো খাবার থেকে প্রোটিন পেতে পারেন, যা আপনাকে সুস্থ রাখবে।
কোলেস্টেরলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা রক্তনালীতে জমা হতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের মতো সমস্যার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই যেকোনো উপায়ে আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। আর কিছু ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাকসবজি, গমের রুটি, বাদামী চাল, মসুর ডাল এবং বিন আপনাকে এতে সাহায্য করতে পারে। কারণ এই সমস্ত খাবারে উপস্থিত ফাইবার অন্ত্রে কোলেস্টেরলকে আবদ্ধ করে। এর পরে এটি মলের মাধ্যমে নির্গত হয়।
অন্যদিকে, কোলেস্টেরলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জাঙ্ক ফুড, ঘরে অতিরিক্ত তেল এবং মশলা সমৃদ্ধ খাবার, লাল মাংস এবং মাংসজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে খেলবেন না
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীরের অনেক অংশকে প্রভাবিত করে। তাই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। আর যদি আপনি এই কাজে সফল হতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। রান্না করার সময় অতিরিক্ত লবণ যোগ করবেন না। ফাস্ট ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে, মৌসুমি তাজা ফল, সবুজ শাকসবজির উপর নির্ভর করুন। এইভাবে আপনি এই রোগ কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বড় বিপদ
প্রথমত, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত জল পান করা উচিত। দিনে ৩ লিটার জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, শাকসবজি এবং ফলের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এতে অন্ত্রে মলের চলাচল বৃদ্ধি পাবে। সকালে পেট পরিষ্কার হতে সময় লাগবে না। আটা, সাদা ভাত বা অন্যান্য পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা উচিত। ফাস্ট ফুডও খাবেন না। তাহলেই আপনি এই সমস্যা থেকে দ্রুত সেরে উঠতে পারবেন।
গ্যাস, অ্যাসিডিটির বড় সমস্যা
পেটের সমস্যার পিছনে হাজারো কারণ থাকতে পারে। তাই প্রথমে আপনাকে সমস্যার পিছনে কারণ খুঁজে বের করতে হবে। সেই অনুযায়ী ডায়েট তৈরি করা যেতে পারে। তবে, এই সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের বাইরের খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বাড়িতেও তেল-মশলা ভরা মশলাদার খাবার তৈরি করবেন না। পরিবর্তে, হালকা, সহজে হজম যোগ্য খাবার খান। এর পাশাপাশি, প্রতিদিন প্রায় ৩ লিটার জল পান করুন। এটি আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।