ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে সিপিআইএম–কংগ্রেস–বিজেপিকে একসঙ্গে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল। এবার সন্ত্রাসের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি এবং সিপিএম। সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট এ বিষয়ে মামলার অনুমতিও দিয়েছে।
সোমবার হাই কোর্টের কাছে এ বিষয়ে মামলা করার অনুমতি চান ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা সরকার। পৃথক ভাবে আবেদন জানানো হয় বিজেপি-র নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও। দু’টি আবেদনই মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি যে হাইকোর্টে যাবে তা শোনা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। এবার সেটাই হল। গতকাল বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্ট করে লিখেছিলেন, মমতা পরাজিত। সুতরাং আইনের পথ তাঁরাও ধরবেন সেটাও বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু একসঙ্গে একই অভিযোগে মামলা দায়ের করবেন সেটা বোঝা যাচ্ছিল না।
‘আমার কর্মদিশা’ প্রকল্পের মাধ্যমে এবার বাংলাই ‘দুয়ারে সরকারে’ ‘কর্মসংস্থান’
সোমবার বিজেপি-র আইনজীবী বলেন, ‘‘মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হয়নি। বোমাবাজিতে জখমের ঘটনা ঘটেছে। আদালত সমস্ত বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন তা মানেনি। বহু বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক ভাবে কাজ করেনি। এ বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমরা আদালতের কাছে জমা দিয়েছি।’’
আইনের ধারা উল্লেখ করে রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া টুইট ধনখড়ের
নানা অভিযোগ তুলে বিরোধীরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলতে থাকে। যা রাজ্য নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘কোনও বুথেই পুনর্নির্বাচন নয়।’ তারপরই এই দুটি রাজনৈতিক দল ঠিক করে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। সেই মতোই আবেদন দাখিল করা হয়েছে। যদিও এই বিরোধী ঐক্যকে রামধনু জোট বলা হচ্ছে।
