ওয়েব ডেস্ক: ঢেলে সাজানো হল পুরসভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাতে অবাঞ্ছিত কেউ পুরসভায় ঢুকতে না পারে, সেজন্য আরও ‘কড়া’ হল পুরসভায় প্রবেশের পথগুলো। কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড ঘিরে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কলকাতা পুরসভাকে (KMC)। সেই জন্যই এই ব্যবস্থা বলছে পুর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা পৌরভবনে কর্মীদের এবং পুর নাগরিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিল পুর কর্তৃপক্ষ। মোট ১৩ দফা বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে।
জারি করা নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, পৌরভবনের মূলধার-সহ যে কোনও দ্বার দিয়ে যখন কোনও পুরকর্মী প্রবেশ করবেন, তখন বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের গলায় দফতরের পরিচয়পত্র ঝোলাতে হবে। পুরসভার কর্মী নন, এমন কাউকে কলকাতা পুরসভার প্রবেশের সময় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড দেখাতে হবে। কলকাতা পুরসভার প্রত্যেক নিরাপত্তা রক্ষী ও পুলিশ বাধ্যতামূলকভাবে পুরসভার কর্মীদের পরিচয় পত্র এবং নাগরিকদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড খতিয়ে দেখবেন। শুধু তাই নয়, তিনি যে বিভাগে দেখা করতে যাবেন, সেখানকার বিভাগীয় প্রধান অনুমতি দিলে, তবেই তিনি সেখানে ঢুকতে পারবেন।
পুরসভার কর্মী নন, এমন কাউকে পৌরভবনে প্রবেশ করতে গেলে প্রবেশদ্বারে রাখা খাতায় নাম, ঠিকানা এবং কার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তা লিখতে হবে। আইনজীবীরা কলকাতা পুরসভায় এলে তাঁরা বিকেল ৫টার পরই পৌরভবনে ঢুকতে পারবেন। অর্থাৎ পুরসভার আইনজ্ঞদের সঙ্গে বিকেল পাঁচটার পর দেখা করা যাবে।
‘রাফাল দুর্নীতি’ নিয়ে ফের তদন্ত শুরু ফ্রান্সে
সন্ধ্যা ৬টার পর এলিট সিনেমা হলের দিকে প্রবেশদ্বার, ট্রেজারি বিভাগের দিকে প্রবেশদ্বার, লাইসেন্স বিভাগের দিকে প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ ৬টার পর থেকে সেখান দিয়ে যাতায়াত করা যাবে না। পুরসভার মূল ভবনের সঙ্গে হগ বিল্ডিংয়ের মাঝে যাতায়াতকারী ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে শুধুমাত্র পুরসভার কর্মীরাই যাতায়াত করতে পারবেন। মেয়র গেট দিয়ে শুধুমাত্র ভিআইপি, কাউন্সিলর, পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য এবং উচ্চ পর্যায়ের কোনও প্রশাসনিক কর্তাই যাতায়াত করতে পারবেন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাতে কোনও অবাঞ্ছিত কেউ প্রবেশ করে ঘোরাঘুরি করতে না পারে সেজন্য পৌরভবনের বিভিন্ন তলায় নজরদারি চালাতে হবে পুর আধিকারিক ও কর্মীদের। কোনও অতিথি পুর আধিকারিক বা কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে এসে যাতে অযথা পুরসভার ভিতর ঘুরতে না পারেন, সেজন্য সাক্ষাত প্রার্থীদের নিজেদের ঘরে বা আসনে বসাতে হবে। পুরসভার নিরাপত্তারক্ষীরা যে কোনও ব্যক্তির কাছেই তাদের পরিচয় পত্র যে কোনও সময় দেখতে চাইতে পারবেন। তার জন্য নিরাপত্তারক্ষীদের পুরোপুরি অধিকার দেওয়া হয়েছে।
ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী এবং তার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুরসভার বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরী এবং পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। একইসঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পুরসভার প্রত্যেকটি প্রবেশদ্বারে বসানো হচ্ছে স্যানিটাইজার মেশিন। বস্তুত কসবার ভূয়ো টিকা কাণ্ডে বিস্তর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল পুরসভাকে।সেজন্য আটোসাঁটে করা হল পুরসভার নিরাপত্তা।