ওয়েব ডেস্ক: চলতি মাসের ১৯, ২২, ৩০ এবং ৩১ তারিখ জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা হয়। কিন্তু ২২ তারিখ প্রচুর বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান আছে। তাছাড়া এলাকায় করোনা পরিস্থিতি এমন হয়ে যায়নি যে লকডাউন করতে হবে, এমনই সব অভিযোগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকেন এলাকাবাসী। লকডাউনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। তার পর এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো পুরসভা। বদলে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ডে এলাকা ভিত্তিক বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসক বোর্ড।
করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে সোমবার জলপাইগুড়ি পৌর প্রশাসক বোর্ড জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী সংগঠন, টোটো ইউনিয়ন সহ অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত হয় ১৯, ২২, ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি- এই চারদিন শহরের ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান-বাজার বন্ধ থাকবে।
চারিদিকে যখন লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে, তখন নতুন করে পুরসভার এই বিধিনিষেধ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে নানা মহলে। জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় ফের কার্যত লকডাউন করা হবে, এই মর্মে খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হতেই সামাজিক মাধ্যমে পৌরসভাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আর এতে অস্বস্তিতে পড়ে জেলা প্রশাসন। ফলে এই সিদ্ধান্তকে পুনরায় বিবেচনা করতে পুরসভাকে অনুরোধ করেন জলপাইগুড়ি জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
দিনহাটায় রেড ভলান্টিয়ারদের হুমকির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
এর পর এদিন ফের বৈঠকে বসেন পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা। তার পরই সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে জলপাইগুড়ি শহরের একেক দিন একেক এলাকার বাজার সহ দোকানপাট বন্ধ রাখার নতুন সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি টোটো-রিক্সার মতো যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জেলা শাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে তাঁর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।