ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস অবশেষে সাংগঠনিক নির্বাচনের রাস্তায় হাঁটছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি সাংগঠনিক নির্বাচন। কোভিডবিধি মেনে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হবে ওই নির্বাচন। কারা কারা ভোট দিতে পারবেন? কারা হবেন পর্যবেক্ষক? ২৫ জানুয়ারির মধ্যে তৈরি হবে তালিকা।
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মহাসচিব বলেন, “২ ফেব্রুয়ারি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন। কোভিডবিধি মেনে নেতাজি ইন্ডোরে হবে সেই নির্বাচন। ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভোটারদের তালিকা তৈরি হবে।” দলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এবারও প্রথমে দলের চেয়ারপার্সন বা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। তারপর তৈরি হবে দলের ওয়ার্কিং কমিটি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে দলের বর্তমান মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই নিয়োগ পত্র পাওয়ার পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে সাংগঠনিক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন।
মুকুল রায় বিধায়ক পদ নিয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত জানানোর সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সংবিধান মেনে সাংগঠনিক নিয়মে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন হবে চেয়ারপার্সন পদের জন্য। তারপর অন্যান্য পদের নির্বাচন হবে। তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর এই মুহূর্তে সবার নজর সেইদিকেই। পুরসভা নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে প্রায় তিন সপ্তাহ। তাই এর ফাঁকে তৃণমূল চাইছে নিজেদের দলের সাংগঠনিক নির্বাচন ও রদবদল সেরে নিতে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের যেরে লকডাউন ডেকেও পিছু হটল জলপাইগুড়ি পুরসভা
এদিন দলের অন্দরের কোন্দল নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তিনি জানিয়ে দেন তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প তৈরি হয়নি। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিনিই নেবেন। তবে দল এখন অনেক বড় হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন।
