ওয়েব ডেস্ক: বেশ কিছু দিন ধরে চর্চাই এসেছে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বানানোর বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের দাবি। এইবার এর বিরোধিতা করে একসাথে সুর চরাল বাম ও কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ দিবসে বাংলাকে ভাঙার দাবি তোলা হচ্ছে। আসলে স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাকে ভাগ করে বাঙালির জাতিসত্তাকে সর্বনাশ করার নানা ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি বলে অভিযোগ সিপিএম নেতা ডঃ সুজন চক্রবর্তীর। এই চক্রান্ত আগেও অনেকবার হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নানা নাম দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হয়েছে। এটা বিজেপির পরিকল্পিত প্রচার। কংগ্রেস এই চক্রান্তের বিরোধী বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত। তাই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেবার দাবি করেন একাধিক বিজেপি বিধায়কও। রাজ্যের শাসকদল প্রথম থেকেই এই দাবির বিরোধিতা করছে। এবার শাসকের পাশে দাঁড়াল বিরোধী বাম ও কংগ্রেস। দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের দাবির বিরোধিতা করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডঃ সুজন চক্রবর্তী।
স্বাধীনতার আগে থেকে বাংলাকে ধংস্ করার যে চক্রান্ত তৎকালীন জনসংঘ করে আসছে এখন তা করছে বিজেপি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রোধ করে গর্ব করেছিলেন আর জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা বাংলা ভাগ করে গর্ব করেছিলেন। কিন্তু বাংলার মানুষ তা এইসব মন থেকে মেনে নেয়নি বলে গেরুয়া শিবিরকে স্মরণ করান সুজন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে একসঙ্গে বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
ভুলগুলিকে উপলব্ধি না করতে পেরে আরও বড় ভুলের জন্ম দিয়েছে CPIM: সীতারাম ইয়েচুরি
এই ইস্যুতে তৃণমূলের সঙ্গে একমন পোষণ করেন সুজন বাবু। বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের তোলা দাবির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন প্রদেশ সভাপতি ও কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, গোর্খাল্যান্ড, কামতাপুরি বা গ্রেটার কুচবিহারের নামে বারবার উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার চক্রান্ত করা হয়েছে। আলাদা রাজ্য হলে তবেই সেখানকার উন্নয়ন হবে এই বলে সেখানকার মানুষকে ভুল বোঝান হয়েছে দাবি করেন তিনি। একজন সাংসদ বলছেন বলে গুরুত্ব না দিয়ে বসে থাকলে হবে না। এর পিছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ অধীরের। রাজ্য সরকারকে চোখ কান খোলা রেখে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। উত্তরবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব কৌশলী চাল দিচ্ছে। সকলকে এর বিরুদ্ধে একসাথে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করেন অধীর বাবু।