Table of Contents
আজকাল মানুষ সর্দি, কাশির মতো সাধারণ সমস্যার জন্য ওষুধ খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। যদিও প্রাচীন আয়ুর্বেদিক নিয়মে রোগকে মূল থেকে দূর করার কথা বলা হয়েছে। আয়ুর্বেদিক বলে যে প্রত্যেকের শরীরের গঠন আলাদা। আমাদের শরীর তিনটি দোষ দিয়ে তৈরি, যথা বায়ু, কফ এবং পিত্ত। যখন এই তিনটি দোষ শরীরে ভারসাম্যহীন হয়, তখন একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্য সমস্যার শিকার হন। শরীরে যে পরিমাণ দোষ বাড়ে, সেই পরিমাণ অনুসারে ব্যক্তির অসুস্থতার চিকিৎসা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে, একজন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছেন যে কীভাবে আমাদের শরীরে কোন দোষ বেশি দেখা যায়।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে বারবার যে সমস্যা দেখা দেয়, তার মধ্যে বায়ু, কফ এবং পিত্তের মধ্যে কোন দোষ বেশি তা আপনি জানতে পারবেন। যদি জয়েন্টে ব্যথা হয়, তাহলে সেটা বায়ু দোষ, অ্যাসিডিটি, পেটে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, তাহলে সেটা বায়ু দোষ এবং যদি ঘন ঘন ঠান্ডা, কাশির সমস্যা হয়, তাহলে সেটা বায়ু দোষ। তাই, কিছু মানুষের শরীরে বায়ু এবং পিত্ত, কফ এবং বায়ুর দুটি মিশ্র দোষও পাওয়া যায়। যেকোনো রোগে, আয়ুর্বেদে, প্রথমে শরীরে কোন দোষ বেশি তা পরীক্ষা করা হয়। পিত্ত না কফ, তা খুঁজে বের করার পর, উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস দেওয়া হয় এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।
আরও পড়ুন : সুস্বাস্থ্যের জন্য জলপাই তেল নাকি সরিষার তেল, কোন তেল বেশি উপকারী?
তিনটি দোষের মধ্যে একটির ভারসাম্যহীনতা, অসুস্থতার কারণ
বায়ু, কফ এবং পিত্ত সহ এই তিনটি দোষ হল এমন উপাদান যা শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। যখনই এর যেকোনো একটি ভারসাম্যহীন হয়, তখন তা শরীরে ব্যাধি বা অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। আজকাল মানুষের মধ্যে ভুল খাদ্যাভ্যাস দেখা যায়। কারণ প্রত্যেকের শরীরে একটি দোষের মাত্রা বেশি থাকে। আর সেই ব্যক্তির এমন খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত যা তাদের শরীরে দোষের পরিমাণ বাড়ায়। কিন্তু আজকাল অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে মানুষ ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, শরীরের প্রকৃতি চিহ্নিত করে এবং সেই অনুযায়ী খাবার খেলে রোগটি মূল থেকে দূর করা সম্ভব।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি সাধারণ স্বাস্থ্য জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা, কোন পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। এটি অনুসরণ করার আগে একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।