Table of Contents
যদি আপনার ওজন অনেক বেড়ে যায় তবে আপনাকে একটি ভাল জীবনধারা বজায় রাখতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার কিডনির বিশেষ যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আপনার জীবনধারায় কিছু বিশেষ পরিবর্তন আনুন। কিডনিতে পাথর একটি সাধারণ জিনিস।
স্থূলতা এবং কিডনি পাথরের মধ্যে সংযোগ কি?
‘ইন্ডিয়া টিভি’-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, স্থূলতা এবং কিডনিতে পাথরের মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, বিসেসজ্ঞরা বলেছিলেন যে পারিবারিক কারণে খুব কমই কিডনিতে পাথর হতে পারে যা একটি অ-পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণ। কিডনিতে পাথর হওয়ার সাধারণ কারণ হল স্থূলতা যা একটি বিপজ্জনক ঝুঁকি।
আরও পড়ুন: Kidney Stones : বুঝুন, সনাক্ত করুন এবং চিকিত্সার মাধ্যমে কার্যকর উপশম পান
আপনার খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন
উচ্চ লবণ, ট্রান্স ফ্যাট, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত লাল মাংস এবং কম জল পানের মতো ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খেলে কিডনির পাথর নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই যে কোনো মানুষের উচিত তার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। শরীর অনুযায়ী পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে।
কিডনিতে পাথর এড়ানো ও চিকিৎসার উপায়
একজন ভালো ডায়েটিশিয়ান স্থূলতা এবং ঘন ঘন কিডনিতে পাথরের রোগীদের জন্য সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা করতে খুবই সহায়ক। বেশিরভাগ মানুষ শারীরিক কার্যকলাপ করেন না। যার কারণে স্থূলতা দ্রুত বাড়তে থাকে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই জরুরি। অতিরিক্ত ওজন অনেক রোগের কারণ হতে পারে। এটি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এই ঘরোয়া প্রতিকারটি অবলম্বন করুন, এটি উপকারী হবে
ছোট আকারের কিডনিতে পাথর নিজে থেকেই বেরিয়ে আসে
ছোট কিডনিতে পাথর নিজে থেকেই চলে যায় এবং ডায়েট ঠিক থাকলে আবার হয় না। যাইহোক, বড় কিডনি পাথর খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তারা শুধুমাত্র অস্ত্রোপচার দ্বারা অপসারণ করা যেতে পারে। তবে এই চিকিৎসা তেমন কার্যকর নয়। যেসব রোগীর বারবার কিডনিতে পাথর হয় তাদের বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার আগে, একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।