Table of Contents
ওয়েব ডেস্ক: ব্রণর (Acne) সমস্যাতে জেরবার। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভোগায় ব্রণর বিচ্ছিরি দাগ। ব্রণ সমস্যা দূর করতে অনেকেই আয়ুর্বেদ, ঘরোয়া প্রতিকার এবং নানা চিকিৎসা ব্যবস্থার সাহায্য নিয়ে থাকেন। এরপর যখন ব্রণ সেরে যায় তখন খুব একটা মাথা ঘামান না ব্রণর দাগ নিয়ে। কিন্তু সমস্যা হল সহজে দূর হয় না ব্রণর জেদি দাগ। এর জন্যও আপনাকে একই ভাবে সবর হতে হবে। ত্বক তখনই ভাল থাকবে, যখন আপনি এর যত্ন নেবেন। একই ভাবে ব্রণর দাগ দূর করার জন্য আপনাকে নিয়মিত একটি সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। এর পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করুন ফেসপ্যাক। এতে ব্রণর দাগও দূর হয়ে যাবে এবং ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে আসবে।
বেসনের ফেসপ্যাক
ত্বকের যত্নের রুটিনে বেসন, টমেটো এবং মধু নানা ভাবে ব্যবহার করা হয়। দাগ থেকে মুক্তি পেতে তিনটি জিনিস মিশিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করুন। এবার এটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে লেবুর খোসার সাহায্যে ঘষে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন খুব দ্রুত না ঘষে ফেলেন। ৪ থেকে ৫ মিনিট ঘষার পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন স্নান করার আগে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে দেখুন। কিছু দিন পর আপনি পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন।
কমলালেবুর খোসা এবং হলুদ
অনেকেই কমলালেবুর খোসা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করেন। এটি কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে। এতে উপস্থিত রেটিনল ব্রণ নিরাময়ে কার্যকর ভাবে কাজ করে। ফেস মাস্ক তৈরি করতে একটি পাত্রে কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো নিন এবং তাতে ১ চিমটি হলুদ মেশান। এবার গোলাপ জলের সাহায্যে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর, বৃত্তাকার গতিতে ঘষে এটি পরিষ্কার করুন। মুখ ধোয়ার সময় শুধুমাত্র সাধারণ জল ব্যবহার করুন।
ডিমের সাদা অংশ ও আমন্ডের দুধ
ডিমের সাদা অংশে রয়েছে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আমন্ডের দুধ ত্বকের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষ বিষয় হল দুটি উপাদানই দাগ দূর করতে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। প্রথমে এই দুটি উপাদানের মিশ্রণের মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুবার এই ফেস মাস্কটি লাগান।