RG Kar কাণ্ডে বামপন্থীরা সারারাত অবস্থান বিক্ষোভ করছে। শ্যামবাজার মেট্রোর সামনে বসেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ SFI-DYFI নেতারা। গতকাল আরজি কর মেডিক্যালে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল বামপন্থীরা। রাজাবাজার থেকে মিছিল শুরু হয়। শ্যামবাজারে বামপন্থী মিছিলটি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ বাধা দেয়। রাত থেকেই সেখানে প্রতিবাদ শুরু করেন মীনাক্ষী।
এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিচার হচ্ছে না কেন বলছেন, বিচার করছে না বলুন। আধিপত্য বাদ, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। একটা নৃশংস, ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। আরজি করের ডাক্তারবাবুকে খুন করে ধর্ষণ করে। মানব সমাজের একটা ঘৃণ্য কাজ করেছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দুর্নীতি করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে যখন একটা গোটা রাজ্যের মানুষ এককাট্টা হয়ে রাস্তায় নেমেছে, তখন ২৭ দিন আধিপত্য বাদ প্রতিষ্ঠা করছে যে না আমি শাস্তি দেব না। এর বিরুদ্ধে লড়তেই হবে। আপনাকেও লড়তে হবে। আমাকেও লড়তে হবে। গোটা রাজ্যের মানুষকে লড়তে হবে। পুলিশ তো বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করছে না। অফিস থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করছে। পুলিশ আন্দোলনকে দমাতে বলছে, কিন্তু দোষীদের শাস্তি দিতে বলছে না। স্বাস্থ্যকে বেঁচে দেওয়ার দুর্নীতি এবং ধর্ষণের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য লড়ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার পদত্যাগের দাবির কাগজ নিজে নিলো আবার ছবিও তুলল।”
আরও পড়ুন : আরজি কর কাণ্ডে পথে বামফ্রন্ট, মিছিলে পা মেলালেন সাধারণ জনতা
আন্দোলনের চাপে সাধারণ পুলিশের বর্বরতা। লাল-বাজার স্টেথোর সাথে ২২ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর পুলিশ পিছু হটেছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা সিপিকে প্রতীকী শিরদাঁড়া দেন এবং তার পদত্যাগ দাবি করেন। বিনীত গয়ালের হাতে স্মারকলিপি নিয়ে অবস্থান তুললেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ১২ এবং ১৪ আগস্ট পুলিশের ব্যর্থতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়েছে, পুলিশি ব্যর্থতা মেনেছেন সিপি। তবে, তিনি বলেছেন যে তিনি তার কাজে সন্তুষ্ট।