Table of Contents
পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেজন্য বাড়ির সবাই ছোট বাচ্চার কাজে জড়িয়ে পড়ে। তবে এই সময়ে সন্তানের পাশাপাশি মায়ের শরীরের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। এদিকে প্রসবের পর অনেক মা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতে ভোগেন। প্রতিদিন সকালে আমার পেট পরিষ্কার করার জন্য বাথরুমে প্রায় ঘাম ঝরিয়ে ফেলি। আজ নতুন মায়েদের এই সমস্যা কমানোর কিছু সহজ টিপস দেবো। আসুন দ্রুত জেনে নেই সেই কৌশলগুলো।
প্রসবের পরে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ
গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে শরীরে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা কমে যায়। এতে হজমের সমস্যা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের জ্বালায় ভোগে। অনেক নারীর নর্মাল প্রসবের পরও পাইলস হয়। যার কারণে তাদের মলত্যাগেও সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন: ডায়েটিং বা ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমাতে চাইলে এই ৫ টি কার্যকর টিপস এবং কৌশল রইল আপনার জন্য
এদিকে প্রসবের পর নারীদের আয়রন সাপ্লিমেন্টসহ নানা ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়। এই ওষুধগুলি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং পেট ফাঁপে। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে।
অবশ্যই প্রচুর জল পান করুন
হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি নিশ্চিত উপায় হল প্রচুর জল পান করা। সারাদিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করুন। এতে মল অনেক নরম হয়ে যাবে। ফলস্বরূপ, আপনাকে প্রতিদিন সকালে আপনার পেট পরিষ্কার করার জন্য সংগ্রাম করতে হবে না।
মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন
প্রসবের পর স্ট্রেস এবং টেনশন অনেক নতুন মায়েদের হয়। মানসিক চাপ শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এতে হজমের সমস্যাও হয়। তাই অবিলম্বে মানসিক চাপ কমাতে প্রাণায়াম করতে পারেন। এমনকি সামান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও আপনার উপকারে আসবে। আপনিও ধ্যান করতে পারেন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দেবে।
আরও পড়ুন: দুধ পান করার আগে দুধ ফুটাতে হবে কেন? জেনে নিন এর উপকারিতা
খাবারের দিকে নজর দিন
নিয়মিত অন্ত্র পরিষ্কারে ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। আপনি এতে ডাল, শুকনো ফল, ওটস এবং অনেক সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এদিকে কিছু ফল খেলেও প্রতিদিন সকালে পেট পরিষ্কার থাকবে।
প্রোবায়োটিক এড়িয়ে যাবেন না
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই নিয়মিত খান। এতে অন্ত্র সুস্থ থাকবে। ফলে প্রতিদিন পেট পরিষ্কার করলে মানসিক চাপ বাড়ে না।
দাবিত্যাগ: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।