ওয়েব ডেস্ক: তৃনমূলেই ফিরতে চান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছেন ডোমজুড়ের তৃণমূল কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে। লাগাতার তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এর মাঝেই শনিবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকের পর থেকে শুরু হয়ে যাই ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের ‘ঘর ওয়াপসি’র জল্পনা। সোজাসুজি কল্যাণকে কোনও উত্তর না দিলেও এবার দলত্যাগীদের তৃণমূলে ফেরানো নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তার সাফ কথা, কর্মীরাই দলের সম্পদ। তাঁদের আবেগে আঘাত লাগে এমন কোনও কাজ করবে না দল।
ডোমজুড়ের কর্মীদের উদ্দেশে রবিবার কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যারা ভোটের সময় দল ছেড়ে গিয়েছিলেন, তা যেমন দল জানে। তেমন আপনারা যেভাবে দলকে জিতিয়ে এনেছেন তাও দল জানে। কোনও ভাবে আপনাদের আবেগে আঘাত করা হবে না। তৃণমূল কর্মীরা নিশ্চিন্তে থাকুন। কাদের নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন।’ যদিও তিনি আরও বলেন, ‘তবে কিছু সময় বৃহত্তর প্রেক্ষিতে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়।‘
অভিষেকের হাতে ৩৫ BJP নেতার ‘লিস্ট’ মুকুলের? চিন্তাই গেরুয়া শিবির
রবিরার কুণাল বলেন, যারা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তারা কার্যত বিজেপিতে মানিয়ে নিতে পারছেন না। মানে মুকুল, শুভ্রাংশুরা তাই বলছেন। যারা তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন তারাও বলছেন একই কথা। তাদের দাবি, বিধানসভা ভোটে এই হার মানতে পারছেন না বিজেপি। তাই রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া ওইসব নেতা ওই পাপের ভাগীদার হতে চান না। তাই ফিরতে চাইছেন।
উল্লেখ্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতার ফেরার জল্পনায় ডোমজুড়ে অন্তত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ কর্মী ও নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। যারা সুবিধেবাদী হয় চলে গিয়েছিল তাদের নেওয়া উচিত কী উচিত নয় তা নিয়ে আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ্যে বলব না। কারণ দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমি। দলের লাইন আমাদের লাইন। তবে বিশেষকরে ডোমজুড়ের কর্মীদের বলতে চাই, কোনও জল্পনায় ভুলবেন না।
আপনি কি ডায়াবেটিসের সমস্যাই ভুগছেন ? এটি নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদিক উপাই যেনে নিন
বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর উদাহরণ টেনে খোঁচা দেন কুণাল ঘোষ। মনে করিয়ে দেন তৃণমূলের সাংসদ হয়েও তাঁর বাবাকে অমিত শাহের সভা মঞ্চে দেখা গিয়েছে।