বর্ষাকাল এবং শীতকালের মাঝামাঝি সময়ে অসুস্থতার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এই দিনগুলোতে বেশিরভাগ মানুষ সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। এই সাধারণ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া প্রতিকার উপকারী হবে। সর্দি-কাশির সমস্যায় এই ফলগুলো খেলে সমস্যা আরও বাড়বে। আর সেই কারণেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সর্দি-কাশির সমস্যায় কখনই এই ফলগুলো খাওয়া উচিত নয়। সর্দি-কাশির সমস্যায় কোন ফলগুলো ক্ষতিকর বলে মনে করা হয় তা জেনে নিন।
সাধারণত, ফলগুলোকে স্বাস্থ্যকর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু যখন আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা হয় তখন কিছু ফল এড়িয়ে চলা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ঠান্ডা লাগা এবং কাশিতে নাশপাতি খাবেন না। এই ফলটি খুবই নরম, তবে এটি লালা উৎপাদন বাড়াতে পারে, যার কারণে ঠান্ডা লাগা এবং কাশির সমস্যা আরও খারাপ হয়।
আঙ্গুর পুষ্টিকর ফল, তবে এই ফলে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এর ব্যবহার শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং ঠান্ডা লাগা এবং কাশির লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন : মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এই জিনিসগুলি! আপনার খাদ্যতালিকায় এগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন
কলা প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস, এর ব্যবহার অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়, কিন্তু ঠান্ডা লাগার সময় এটি লালা বাড়াতে পারে, তাই ঠান্ডা লাগা দ্রুত চলে যায় না।
আনারসে ব্রোমেলেন নামক একটি এনজাইম থাকে, যা গলায় লালা বাড়াতে পারে। এর ফলে গলায় জমে যাওয়া এবং কাশি বেড়ে যেতে পারে, তাই অসুস্থতার সময় এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, তবে এগুলিতে অ্যাসিডও বেশি থাকে, যা আপনার গলা জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং কাশি আরও খারাপ করতে পারে।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি সাধারণ স্বাস্থ্য জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা, কোন পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। এটি অনুসরণ করার আগে একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।