গরমকালে অনেকেরই গা গোলানোর সমস্যা হয়। বিশেষত যাঁরা বাইরে ঘোরাঘুরি করে কাজ করেন, তাঁদের প্রায়ই গা গোলায়। সমস্যাটা খুব তীব্র আকার ধারণ করার আগে পর্যন্ত বমিও হয় না, কিন্তু একটা অস্বস্তি আর মাথা ঝিমঝিম ভাবটা থাকে। অনেক সময় ব্যাপারটা বাড়তে বাড়তে পেট খারাপ বা বুকে ব্যথা পর্যন্ত চলে যায়। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন আরাম হচ্ছে কিনা।
আমলকি: লেবুর মতোই বিটনুন দিয়ে আমলকির টুকরো মুখে রাখতে পারেন। শুকনো আমলকি তো বটেই, আমলকির জুসও খুব কার্যকর।
পুদিনা: পুদিনার শরবত, পুদিনা দেওয়া চা, মিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলের সুগন্ধ, সবই গা বমিভাব কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। এমনকি তাজা পুদিনার পাতা ভালো করে ধুয়ে খেলেও খুব ভালো ফল পাবেন।
লেবু: লেবু অর্ধেক করে কেটে খানিকটা বিটনুন ছড়িয়ে নিন। অবশ্য হাই ব্লাড প্রেশার থাকলে নুনটা বাদ দিতে হবে। এই লেবুটা চুষে খেলে গা বমিভাব কমে যাবে। এক কাপ জল বা সোডায় লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। পাতিলেবু ছাড়াও কমলালেবু, কিউয়ি খেলেও এই সুফলগুলি মিলবে।
জল খান বেশি করে: একবার গা বমিভাব শুরু হয়ে গেলে বেশি জল খাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তা এড়াতে চাইলে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে চার লিটার জল খান। পর্যাপ্ত জল খেলে হজম ভালো হয়। পেট পরিষ্কার থাকে। ফলে গা বমিভাবও এড়ানো যায়।
শুকনো খাবার খান: পেট খালি রাখবেন না। কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর মুড়ি, চিড়েভাজা, শুকনো টোস্ট, ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুট খেলে উপকার পেতে পারেন।
আদা: প্রায় ২ হাজার বছর ধরে গা বমিভাব কমাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে এসেছে আদা। ক্যান্ডিড জিঞ্জার মুখে রাখলে উপকার পাবেন। আদা দেওয়া চা-ও খেতে পারেন। তবে পরিমাণটা যেন দিনে এক গ্রামের চেয়ে বেশি না হয়।
