Table of Contents
আজকের বিশ্বে, খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং অবনতিশীল জীবনযাত্রার কারণে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফ্যাটি লিভার তাদের মধ্যে একটি। আজকাল অনেকের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যায়। আগে, এটি বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যেত, কিন্তু এখন এটি তরুণদেরও প্রভাবিত করছে। এই অবস্থায়, লিভারের কোষে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়। দুটি প্রকার রয়েছে: অ্যালকোহলিক এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।
যদি কারও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকে, তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণটি চিহ্নিত করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। উপরন্তু, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলি সুপারিশ করা হয় এবং কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও এটি কমাতে সাহায্য করতে পারে। আসুন এ সম্পর্কে আরও জেনে নেওয়া যাক।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ কিরণ গুপ্ত পরামর্শ দিয়েছেন যে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তেলমুক্ত এবং কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। সালাদে শসা এবং গাজর অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সেদ্ধ শাকসবজি খান। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করুন; কয়েক মিনিট দ্রুত হাঁটাও উপকারী হতে পারে এবং প্রাণায়াম অনুশীলন করুন। বিশ্রাম নিন এবং প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। ঠাণ্ডা এবং কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন ২.৫ থেকে ৩ লিটার জল পান করুন। এছাড়াও, দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য গ্রহণ সীমিত করুন।
প্রতিদিন লেবু এবং মধুর জল পান করাও এই সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে। অতিরিক্ত ভাবে, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে লাউয়ের রস এবং পুদিনার রস লিভারের সমস্যার জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে বিবেচিত হয়। কিছু মশলাও উপকারী বলে বিবেচিত হয়। সেলেরি, মৌরি এবং ধনে বীজ মিশ্রিত জলও ফ্যাটি লিভারের রোগীদের দেওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করাও উপকারী।
খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন করুন
বিশেষজ্ঞরা খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন। আপনার খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। ঘরে রান্না করা খাবার খান। তৈলাক্ত, মশলাদার এবং জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল এবং ধূমপানের মতো অভ্যাস সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়াই ভালো।
আরও পড়ুন : কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এমন পাঁচটি পাতা
প্রতিদিন ব্যায়াম করুন
ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ফিট থাকার জন্য প্রতিদিনের ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালে নিজের জন্য ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিন এবং হাঁটতে যান। দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। যদি আপনার বসে কাজ থাকে, তাহলে স্ট্রেচ করার জন্য কিছুটা সময় বের করুন। এছাড়াও, মানসিক চাপ কমাতে পারেন।
আপনি সূর্য নমস্কার, কপালভাতি এবং অনুলোম-বিলোম করতে পারেন। এগুলি শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী। আপনি প্রতিদিন কয়েক মিনিট ধ্যানও করতে পারেন। এছাড়াও, প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে বিশ্রাম দেয়, শরীর নিজেকে মেরামত করতে দেয়। কোনও ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণ করার আগে, আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। তিনি আপনার চিকিৎসার অবস্থার উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য কি সঠিক তা বলতে সক্ষম হবেন।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি কেবল তথ্যবহুল এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।