কলকাতা। বুধবার সকালেই ফের রাজনীতিবিদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর। এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তাঁর শরীরে মিলেছে সংক্রমণ। মঙ্গলবার চেস্টের সিটি স্ক্যান করার পর চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি করা হয় ইএম বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। বাকি পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়।
বুধবার ভোররাতে সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাজ্যে একাধিক প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হন। আপাতত তাঁকে হাসপাতালেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ও জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর।
সুজবাবুর মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে খবর। এখন তিনি অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। করোনার কারণে ভোটের প্রচারে রাশ টেনেছে বামেরা। ডিজিটাল প্রচারেই জোর দিয়েছেন। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে সংযুক্ত মোর্চার দুই প্রার্থী মারা গিয়েছেন। জঙ্গিপুর কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী এবং সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী। তাই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এই দুই কেন্দ্রের ভোট। ১৩ মে এই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ১৮ মে ফল প্রকাশ করা হবে।
সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র (Jadavpur) থেকে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী। গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে যাদবপুরে। রাজ্যময় করোনার বাড়বাড়ন্তে বামেরই প্রথম সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা বড় রোড শো, জনসভা ইত্য়াদি করবে না। বরং নেটমাধ্যম ও সরকারি প্রচারমধ্যমে (দুরদর্শন ও আকাশবাণী) বাকি প্রচার সারবে।
আপনার লিভার কে ভাল রাখতে এই কথাগুলি মেনে চলুন
প্রসঙ্গত গত বছরও দিন সাতেকের কোয়ারেনটিন করেছিলেন সুজন। কারণ তখন তাঁর গাড়ির চালক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। টেস্ট করার পর অবশ্য সুজনের কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। চালকের সঙ্গে এক গাড়িতে ঘোরাঘুরি করায় সাবধানতা অবলম্বন করার জন্যই ৭ দিনের নিভৃতবাসে ছিলেন তিনি।
তবে রাজ্যে এই প্রথম নয়। সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) আগেও রাজ্যের একাধিক প্রার্থী কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিডের জেরে প্রাণও হারিয়েছেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক এবং জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী। সেই কারণে দুই কেন্দ্রে পিছিয়ে গিয়েছে ভোটগ্রহণ। বীরভূম জেলার মুরারইয়ের বিদায়ী বিধায়ক আব্দুর রহমানেরও মৃত্যু হয়েছে কোভিডে।
উল্লেখ্য, করোনা রুখতে প্রচারে কোপ মেরেছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ক্যাম্পেন কার্ফু। করোনা পরিস্থিতির কারণে শেষ দুই দফার ভোট একদিনে করার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তাতে কর্ণপাত করেননি নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং ডেপুচি কমিশনার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।