ডিজিটাল ডেস্ক: নিম পাতা বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক এবং ঘরোয়া প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম পাতার স্বাদ তেতো হলেও এর উপকারী গুণের কারণে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। নিম পাতা বা এর রস ব্যবহার করা হয়। নিম পাতায় অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। যার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। নিম পাতা ব্যবহার করা হয় এবং এর পাতা বা রস খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়। চলুন এখানে দেখা যাক…
নিম পাতা ব্যবহারের কিছু উপায়
নিম পাতার কড়া (নিমের জল): নিম পাতা ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিন। এবার ছোট ছোট টুকরো করে কেটে জলেতে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। জল অর্ধেক হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে নিন এবং আপনি চাইলে কিছু মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।
নিম পাতার গুঁড়া: শুকনো নিম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এই পাউডারটি দিনে দুইবার ১/২ চা চামচ গরম জলের সাথে খান।
আরও পড়ুন : সকালে খালি পেটে অশ্বগন্ধা খেলে কি হয়? জেনে নিন অশ্বগন্ধা খাওয়ার উপযুক্ত সময়
নিম পাতার তেল: নিম পাতা শুকিয়ে তেলে দিয়ে রান্না করুন। তেলে পাতার রং পরিবর্তন হলে ঠাণ্ডা করে তেল তৈরি করুন। এই তেলটি ম্যাসাজ হিসেবে ব্যবহার করুন এবং এটি ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
জেনে নিন এর উপকারিতা:
নিম পাতার ক্বাথ শরীরে ভাইরাস মেরে ফেলতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
নিম পাতার গুঁড়া পেট সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
নিম পাতার তেল ত্বকের জন্য উপকারী এবং ত্বকের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হয়।
দাঁত পরিষ্কারের জন্যও নিম পাতা খাওয়া যেতে পারে এবং মুখের ঘা সারাতে সাহায্য করে।
উল্লেখ্য যে নিম পাতার অত্যধিক সেবনের বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
আরও পড়ুন : উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে কালো কিশমিশ, জেনে নিন কীভাবে খেতে হবে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: নিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: নিমে ভিটামিন সি এবং অনেক ওষুধ রয়েছে যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্য: নিম পাতা মধুর সাথে মিলিত হজমের উন্নতি করতে পারে এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে পারে।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার আগে, একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।