Table of Contents
ওয়েব ডেস্ক: শিশুর ঘুমের অবস্থান তাদের নিরাপদ এবং স্বচ্ছন্দ ঘুম পাবে কিনা তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক পজিশনে ঘুমানো সমস্ত বয়সের ব্যক্তিদের জন্যই লাভদায়ক। তবে বাচ্চাদের শোয়ানোর বিষয় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সঠিক পজিশনে ঘুমানো শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী। আপনার নবজাতক কি সঠিক পজিশনে ঘুমায়? শিশুকে শোয়ানোর সঠিক ধরণ কি, আবার কি ভাবে শিশুকে ঘুম পাড়াবেন না।
শিশুকে শোয়ানোর সঠিক পজিশন
পিঠের ওপর ভর করে শোয়ানো নবজাতকের জন্য সবচেয়ে ভালো। নানান গবেষণা ও সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, নবজাতককে পিঠের ওপর ভর দিয়ে শোয়ানো উচিত। এর ফলে তাদের মধ্যে সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রোমের ঝুঁকি কমে যায়। পিঠের ওপর ভর করে শুলে বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হয় না।
তবে পিঠের ওপর ভর দিয়ে ঘুমালে শিশু বমি করে দিতে পারে বলে অনেক অভিভাবকই চিন্তিত থাকেন। কিন্তু এমনটি হয় না। পিঠের ওপর ভর দিয়ে শুলে শিশুদের মধ্যে রিফ্লাক্সের আশঙ্কা থাকে না। কোনও তরল পদার্থ শিশুর মুখে এসে গেলে, তা তারা গিলে নিতে পারে। নবজাতকরা খেলার সময় পাশ ফিরলে বা বিছানায় ঘুরে ফিরে খেললে ভয়ের কোনও কারণ নেই।
গলায় কি মাছের কাঁটা বিঁধেছে? আসুন দেখে নিই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে বার করবেন
কোন স্লিপিং পজিশন বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ নয়?
পেটের ওপর ভর দিয়ে শোয়ানো
এই স্লিপিং পজিশন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। পেটের ওপর ভর দিয়ে ঘুমালে বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বাচ্চার শরীরের ওজন তার পেটের ওপর পড়ে ফলে শিরদাঁড়ার এর দুষ্প্রভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার এই পজিশনে ঘুম পাড়ালে সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথের ঝুঁকিও থাকে সবচেয়ে বেশি। এমনকি এই পজিশনে অপরিষ্কার বিছানায় ঘুমালে, তাতে উপস্থিত মাইক্রোব্সও শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে যেতে পারে। তাই ১ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের পিঠের ওপর ভর দিয়ে ঘুম পাড়ানো উচিত।
নারকেল জল খাওয়ার পর নারকেলের শাঁস ফেলে দেন, উপকার জানলে এই ভুলটি আর করবে না
পাশ ফিরিয়ে শোয়ানো
এর ফলে শিশুর সমস্ত ওজন শরীরের একটি অংশে পড়ে যায়। ত্বক হাল্কা লাল বা গোলাপি হয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা লাগাতার একদিকে পাশ ফিরে ঘুমালে শিশুর মস্তিষ্কের বৃদ্ধির গতি কমে যায়। এমনকি শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। ১ বছর পর শিশু যেমন ভাবে ঘুমাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবে, তাদের ঘুমাতে দেওয়া উচিত। তবে নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে।
নবজাতককে ঘুম পাড়ানোর সময় যে বিষয়গুলির প্রতি নজর দেবেন
১. শিশুকে ঘুম পাড়ানোর জন্য নরম ও পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন গদি ব্যবহার করুন।
২. বাচ্চা যে কক্ষে থাকবে তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৩. নবজাতককে একা শোয়াবেন না। তার আশপাশে থাকুন।
৪. নিজের বুকেও শিশুকে ঘুম পাড়াতে পারেন। এর ফলে পারস্পরিক সম্পর্ক গভীর হয়। এটি নিরাপদ।
৫. ভারি ও মোটা কম্বল দিয়ে ঢাকা দেবেন না।
৬. নবজাতককে বালিশে ঘুম পাড়াতে নেই। এর ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
একটি শিশুকে পাশাপাশি ঘুমানো সিডস-এর ঝুঁকি বাড়ায় যা শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। যদিও অনেকগুলি কারণে সিডস তৈরি হতে পারে, একটি শিশুর ঘুমের পরিবেশে কয়েকটি সাধারণ পরিবর্তন এটি প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। নিরাপদ ঘুমের পরিবেশ বজায় রেখে বাচ্চাকে আরও ভাল ঘুমাতে সহায়তা করার পরামর্শের জন্য পিতামাতা এবং যত্নশীলদের উচিত একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
